জামায়াতের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে ইসলামিক দলগুলো। ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে ইসলামিক দলগুলো। আর তাতে নেতৃত্বে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে সবচেয়ে বড় ইসলামিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দল এবং সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে দলটি।গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারত পালানোর দিন আলোচনায় আসেন জামায়াতে ইসলামীর আমির। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জামায়াতের ইসলামীর আমিরের কথা বলতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় আসে দলটি। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র সংস্কারে সকল কাজে সামনের সারিতে দেখা যায় দলটিকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শহিদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অর্থ সহযোগিতা এবং সবশেষ ভারতের পানি আগ্রাসনের পর বানবাসী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জামায়াত আমিরের বক্তব্য এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় উপহার সামগ্রী পৌঁছিয়ে জয় করে নিয়েছেন নেটিজেনদের। সব কিছু মিলিয়ে এখন আলোচনায় জামায়াতের আগামী দিনের রাজনীতি কোন পথে?
জামায়াতের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে ইসলামিক দলগুলো
গত ২০ আগস্ট থেকে ইসলামিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে জামায়াতে ইসলামী। সেদিন কওমি ঘরানার ইসলামি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মগবাজারে। সর্বশেষ দলটি বৈঠক করেছে রোববার। এদিন বিকালে ফরায়েজি আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে।
একদিকে দল গোছানো, অন্যদিকে জনসম্পৃক্ততার কাজে সময় ব্যয় করছে দলটি। ইসলামি দলগুলোকে একত্রিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দলটির নেতারা। চেষ্টা করছেন একটি বৃহত্তর ইসলামিক ঐক্য গড়ে তোলার।
জামায়াতে ইসলামী পশ্চিমা বিশ্বে নিজেদের পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছে একটি উদারপন্থি ইসলামিক দল হিসেবে। একই সঙ্গে ভারতের দৃষ্টিতেও নিজেদের পজেটিভ ইমেজ তৈরি করেছে দলটি। বিভিন্ন সময় মন্দির এবং হিন্দুদের বাড়িঘর ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে জামায়াতের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করলেও জামায়াত প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এটি আওয়ামী লীগের ইন্ধনে হয়েছে। যখন জামায়াতকে জড়িয়ে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে; ঠিক সে সময় জামায়াতের নেতাকর্মীদের দেখা গেছে মন্দির এবং সনাতন ধর্মীয়দের বাড়ি ও মন্দির পাহারা দিতে।
এসব কিছুই দৃষ্টি কেড়েছে অন্যান্য ইসলামিক দলগুলোর। গত ২০ আগস্টের মতবিনিময়ে অংশগ্রহণ করেন মাওলানা মুফতি মহিউদ্দীন কাসেমী, মুফতি খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি রেজাউল করীম আবরার, মাওলানা আব্দুল মজিদ আতহাবী, মুফতি আজহারুল ইসলাম, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুফতি রাদেশ বিন নূর, মাওলানা মুনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা মুফতি আবুল কালাম, মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, মাওলানা আব্দুল মোমেন নাসেরী, মাওলানা আবুল কাশেম কাসেমী, ইসলামি বক্তা মাওলানা আলী হাসান উসামা প্রমুখ।
সে সময় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এখন থেকে আমরা সবাই একে অপরের জন্য। সবাই সিসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ থাকব, ইনশাআল্লাহ। অতীতের কোনো আচরণের জন্য আপনারা যদি সামান্য কষ্ট পেয়ে থাকেন, আল্লাহর ওয়াস্তে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই। আশা করি, আপনারা আমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। তার এমন উদারতা মন জয় করে নেয় সভায় থাকা অতিথিদের।
আরও দেখুনঃ