প্রশাসন এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, জনগণের নিরাপত্তার জন্য নয়: গয়েশ্বর । বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বাংলাদেশের এমন কোনো কারাগার নেই যেখানে আমাদের কর্মীরা বন্দি নেই। এই আটকও একটি বাণিজ্য। ধরে আনতে পারলেই বাণিজ্য। আত্মীয় স্বজনরা দেখা করতে আসলে টাকা, খাবার দিতে আসলে টাকা, আদালতে এনে রিমান্ড না নেওয়া জন্য টাকা। এরকম অনেক খাত আছে। প্রশাসন এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এটি জনগণের নিরাপত্তার জন্য নয়। খুনী, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের রক্ষা করাই যেন প্রশাসনের কাজ।
প্রশাসন এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, জনগণের নিরাপত্তার জন্য নয়: গয়েশ্বর
শনিবার (৮ জুন) বিকালে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধনটি বিএনপি কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে ফকিরাপুল বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
গয়েশ্বর বলেন, আজকে আমেরিকা বা কোনো রাষ্ট্র আমাদের দেশের কারো বিরুদ্ধে স্যাংশন দিলে তা জাতির জন্য লজ্জার। কিন্তু সরকার লজ্জা পায় না। বেনজীর র্যাবের ডিজি থাকা অবস্থায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনকে উত্তরা থেকে আটক করলো। তার তিনমাস পর ভারতে তাকে পাওয়া গেলো। এটি কিভাবে সম্ভব হলো? কেনো তদন্ত করলেন না। আপনারা (সরকার) কি বিষয়টি জানতেন না?
এমপি আনার হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আনার একসময় সর্বহারা পার্টি করতেন। আওয়ামী লীগে যোগদান করে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেলেন। আনার যে খুন হয়েছে তা এখনও প্রমাণ করতে পারেনি। তার শরীরের টুকরো এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আর যদি খুন হয়েই থাকে তাহলে তাকে খুনের দায়ে যাদের আটক করা হয়েছে খুনীরা কেনো তাকে খুন করলো তা কেনো প্রকাশ করছেন না?
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট চার লক্ষ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের কথা বলা হয়েছে। এই টাকায় রাষ্ট্রের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন হবে। জনগণের টাকায় বেতন হবে, জনগণের টাকায় খাবেন আর জনগণের উপর লাঠি চালাবেন, এটি একটি সীমাহীন বেয়াদবি। গরু মোটাতাজা করার মত চোর-ডাকাত এবং লুটতারাজদের মোটাতাজা করার জন্য এ বাজেট।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা সেলিম রেজা, মৎসজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দীন নসূ, স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব পাপ্পা সিকদার প্রমুখ।
আরও দেখুনঃ